শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- আপলোড সময় : ৩১-০১-২০২৫ ১২:২৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩১-০১-২০২৫ ১২:২৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহ¯পতিবার সন্ধ্যায় লাইব্রেরির মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, সিনিয়র আইনজীবী হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী হোসেন তওফিক চৌধুরী, প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, প্রফেসর সৈয়দ মহিবুল ইসলাম, লেখক কবি সুখেন্দু সেন, অ্যাড. আব্দুল হক।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন অ্যাড. পীর মতিউর রহমান, লেখক ইশতিয়াক আহমদ রূপু, অ্যাড. জয়শ্রী দে, প্রভাষক মশিউর রহমান, সিদ্ধার্থ আচার্য্য, শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, শিক্ষক অনুপ নারায়ণ তালুকদার, মো. মুরশেদ আলম, আবুল হোসেন, ওবায়দুল হক, শাহ কামাল, ব্যাংক কর্মকর্তা সত্যজিৎ আচার্য্য, রাজু আহমদ, মো. নাছিম প্রমুখ।
সাধারণ সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খলিল রহমান। সভায় খসড়া বাজেট পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ অ্যাড. মাহবুবুল হাছান শাহীন।
এর আগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির নতুন আজীবন সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং অভিনন্দনপত্র প্রদান করা হয়।
সভায় শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন অ্যাড. এনাম আহমদ। একই সাথে গত ১১ জানুয়ারি প্রয়াত অ্যাড. আনোয়ার হোসেন স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় দাতা সদস্য হিসাবে ১ লাখ টাকা প্রদান করে সুনামগঞ্জের ডাচবাংলা ব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ম্যানেজার গোলাম আজাদ অভিনন্দনপত্র গ্রহণ করেন। সভায় অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।
সভার শুরুতে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মো. আমিনুল হক, গীতা থেকে পাঠ করেন অশোক গোস্বামী।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমাদের ফরিদপুর জেলায়ও এ রকমের পাবলিক লাইব্রেরি আছে। সেটার নাম পল্লী কবি জসীম উদ্দিন পাবলিক লাইব্রেরি। তবে এই লাইব্রেরির মতো এতো সুন্দর নাম আমি পাইনি। নামটি আমার খুবই ভাল লেগেছে।
তিনি বলেন, আমি এই লাইব্রেরিকে ভেঙে নতুন লাইব্রেরি করতে চাই না। কারণ যার বা যাদের অনুদানে এই লাইব্রেরি নির্মাণ হয়েছে, এতে অনেক স্মৃতি আছে। আমি চাই আরও বেশি জায়গা নিয়ে লাইব্রেরি নির্মাণ করতে।
তিনি বলেন, গুণী ব্যক্তিদের সৃষ্টি কর্মে উৎসাহী করা খুবই প্রয়োজন। বই পড়ে গুণী ব্যক্তিদের জানা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক আজীবন সদস্যদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের পক্ষে আমার মতামত আছে। আলোকিত লেখকদের নিয়েও আলোচনার আয়োজন করা যায়। তিনি বলেন, যারা অনেক দূরে বা দেশের বাইরে আছেন, তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
সভায় পাঠসিঁড়ি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ